বিষয়বস্তুতে চলুন

ভারতীয় সংসদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৮°৩৭′২″ উত্তর ৭৭°১২′২৯″ পূর্ব / ২৮.৬১৭২২° উত্তর ৭৭.২০৮০৬° পূর্ব / 28.61722; 77.20806
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৯৯ নং লাইন: ৯৯ নং লাইন:


===নতুন ভবন===
===নতুন ভবন===
{{অনুচ্ছেদ উদ্ধৃতি|নতুন সংসদ ভবন (ভারত)|only=paragraphs}}
{{অনুচ্ছেদ উদ্ধৃতি|নতুন সংসদ ভবন (ভারত)|files=-}}


==গঠন==
==গঠন==

০৮:৪০, ২৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভারতীয় সংসদ
প্রতীক বা লোগো
ধরন
ধরন
কক্ষ
নেতৃত্ব
হরিবংশ নারায়ণ সিং[], জেডি(ইউ)
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে
পীযূষ গোয়েল[], বিজেপি
১৪ জুলাই ২০২১ থেকে
মল্লিকার্জুন খড়গে, কংগ্রেস
১ অক্টোবর ২০২২ থেকে
খালি
খালি (শাসক বিজেপি ছাড়া কোনো দলের আসনসংখ্যা ১০%-এর বেশি নয়)
২৬ মে ২০১৪ থেকে
গঠন
আসন৭৮৮
রাজ্যসভা রাজনৈতিক দল
লোকসভা রাজনৈতিক দল
নির্বাচন
সিঙ্গল ট্রান্সফারেবল ভোট
ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট
রাজ্যসভা সর্বশেষ নির্বাচন
১০ জুন ২০২২
লোকসভা সর্বশেষ নির্বাচন
১১ এপ্রিল–১৯ কে ২০১৯
রাজ্যসভা পরবর্তী নির্বাচন
২০২৩
লোকসভা পরবর্তী নির্বাচন
মে ২০২৪
সভাস্থল
নতুন সংসদ ভবন, সংসদ মার্গ, নতুন দিল্লি
ওয়েবসাইট
www.parliamentofindia.nic.in
সংবিধান
ভারতের সংবিধান

ভারতীয় সংসদ (ইংরেজি: Parliament of India) ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ যুক্তরাষ্ট্রীয় ন্যায়বিভাগ। ভারতের রাষ্ট্রপতি, লোকসভা নামক নিম্নকক্ষ ও রাজ্যসভা নামক উচ্চকক্ষ নিয়ে ভারতের সংসদ গঠিত। নতুন দিল্লির সংসদ মার্গের সংসদ ভবনে এটি অবস্থিত। সংস্কৃত সংসদ (संसद অর্থাৎ, সভা বা পরিষদ) থেকে এই নামটি গৃহীত হয়েছে। কোনও প্রস্তাব আইনে পরিণত করতে সংসদের উভয় কক্ষে তা উত্তীর্ণ হয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়। ভবনের কেন্দ্রীয় কক্ষটি সংসদের যৌথ অধিবেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সংসদের কক্ষদুটির মধ্যে যেকোনো একটি কক্ষে নির্বাচিত বা রাষ্ট্রপতি দ্বারা মনোনীত সদস্যদের সংসদ সদস্য (এমপি) বা সাংসদ বলে। লোকসভার সাংসদগণ ভারতীয় জনগণের দ্বারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, রাজ্যসভার সাংসদগণ রাজ্য বিধায়কদের দ্বারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। সংসদের আসনের মধ্যে ৫৪৩টি লোকসভা আসন এবং ২৪৫টি রাজ্যসভা আসন, যার মধ্যে ১২টি আসন সাহিত্য, কলা, বিজ্ঞান, ও সামাজিক পরিষেবার বিশেষজ্ঞদের জন্য সংরক্ষিত।[] সংসদের বর্তমান সভাস্থল ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে অবস্থিত নতুন সংসদ ভবন

ভবন

মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত পুরনো সংসদ ভবন ভারতীয় সংসদের সভাস্থল ছিল। পরবর্তীকালে নবনির্মিত নতুন সংসদ ভবনে সংসদের কার্যকলাপ হয়।

পুরনো ভবন

কর্তব্য পথ থেকে দৃশ্যমান পুরনো সংসদ ভবন

পুরনো সংসদ ভবন ভারতের সংসদের আসন। এটি রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ৭৫০ মিটার দূরত্বে সেন্ট্রাল ভিস্তাকে অতিক্রম করা সংসদ মার্গ বরাবর অবস্থিত; ভবনটি ইন্ডিয়া গেট, যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আবাস, মন্ত্রিসভা ও ভারত সরকারের অন্যান্য প্রশাসনিক একক দ্বারা বেষ্টিত। এটিতে লোকসভা ও রাজ্যসভা রয়েছে, যা ভারতের দ্বিখণ্ডিত সংসদে যথাক্রমে নিম্ন ও উচ্চতর সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে।

বিদ্যমান ভবনটি মোরেনার চৌসথ যোগিনী মন্দিরের অনুপ্রেরণায় নির্মিত এবং ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের জন্য নির্মিত হয়। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পরে, এটি ভারতের গণপরিষদ দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়, যা ১৯৫০ সালে ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার পরে ভারতের সংসদ হিসাবে পরিচিত হয়।[]

২০১০-এর দশকে, সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণ এবং ২০২৪ সালে সমাপ্তির প্রত্যাশায় একটি কর্মসূচী শুরু করায় বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক ভবন পুনর্নির্মাণ বা স্থানান্তর করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।[] যেহেতু ভারত তার সংসদের সদস্যপদ সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়েছে, সেই কারণে নতুন সংসদ ভবনটি অধিক আসনবিধানের জন্য ১,৩৫০ জন সদস্য আসন বিশিষ্ট হবে। ২৮ মে ২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন সংসদ ভবনটি উদ্বোধন করেছেন।

নতুন ভবন

নতুন সংসদ ভবন, ২৭ মে ২০২৩
নতুন সংসদ ভবন ভারতের সেন্ট্রাল ভিস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসাবে, নতুন দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবন নির্মিত হয়েছে। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মে ভবনটির দ্বারোদ্ঘাটন হয়। ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমে সেঙ্গোল তথা রাজদণ্ড স্থাপন করেন এবং সংসদের দুই কক্ষের ১২৭২টি আসন সম্বলিত নবনির্মিত ভবন জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। পুরনো সংসদ ভবনটি নতুন ভবনের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত।

গঠন

রাজ্যভিত্তিক সংসদের প্রত্যেক কক্ষের আসনের বণ্টন

রাষ্ট্রপতি

ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান[১০] রাষ্ট্রপতি ভারতের আইনবিভাগ, শাসনবিভাগ ও বিচারবিভাগের সকল শাখার আনুষ্ঠানিক প্রধান এবং ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। ভারতের রাষ্ট্রপতির দণ্ডিত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ স্থগিত, হ্রাস বা দণ্ডিতকে ক্ষমা করার অধিকার রয়েছে।[১১]

রাষ্ট্রপতি এক নির্বাচকমণ্ডলীর দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। এই নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হয় ভারতীয় সংসদ (লোকসভারাজ্যসভা) এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার সদস্যদের নিয়ে। রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর।[১২] অতীতে দেখা গিয়েছে যে, শাসক দলের (লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল) মনোনীত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি পুনরায় নির্বাচনে লড়তে পারেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, যাতে নির্বাচকমণ্ডলীতে প্রতি রাজ্যের জনসংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধায়কদের প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এবং রাজ্য বিধানসভার সদস্যসংখ্যার সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্যসংখ্যার সামঞ্জস্যবিধান করা যায়। কোনো প্রার্থী এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেতে ব্যর্থ হলে, একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরাজয়শীল প্রার্থীদের ভোট অন্য প্রার্থীতে হস্তান্তরিত হতে থাকে (এবং সেই সঙ্গে সেই প্রার্থী নির্বাচন থেকে বাদ পড়তে থাকেন), যতক্ষণ না একজন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেন। ভারতের উপরাষ্ট্রপতি অবশ্য লোকসভা ও রাজ্যসভার সকল সদস্যের (নির্বাচিত ও মনোনীত) প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন।[১৩]

যদিও ভারতীয় সংবিধানের ৫৩ অনুচ্ছেদে[১৪] বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতা সরাসরি প্রয়োগ করতে পারেন,[১৫] তবুও, কয়েকটি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া রাষ্ট্রপতির সব ক্ষমতাই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীন। ভারতের রাষ্ট্রপতি নতুন দিল্লিতে একটি এস্টেটে বাস করেন। এই এস্টেটটি রাষ্ট্রপতি ভবন নামে পরিচিত।[১৬] রাষ্ট্রপতির অবসরযাপনের জন্য ছারাব্রা, শিমলাহায়দ্রাবাদে তিনটি রিট্রিট বিল্ডিং রয়েছে। হায়দ্রাবাদের রিট্রিট ভবনটির নাম রাষ্ট্রপতি নিলয়ম।

২৫ জুলাই, ২০০৭ প্রতিভা দেবীসিংহ পাতিল ভারতের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। তিনিই দেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি।[১৭]

১৯ জুলাই, ২০১২ ভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের ফল ২২ জুলাই ঘোষিত হয়েছে। প্রণব মুখোপাধ্যায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। ২৫ জুলাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল তার কার্যভার ত্যাগ করেছেন। একই সাথে প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।[১৮]

রাজ্যসভা

রাজ্যসভা হল ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ। এই সভার সর্বোচ্চ সদস্য বা কোরাম সংখ্যা ২৪৫। ভারতের রাষ্ট্রপতি শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজসেবার ক্ষেত্র থেকে ১২ জন সদস্যকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করেন; এঁরা মনোনীত সদস্য বা কোরাম নামে পরিচিত। অন্যান্য সদস্যরা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভা, বিধান পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সাংসদদের কার্যকালের মেয়াদ ছয় বছর এবং প্রতি দুই বছর অন্তর সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ অবসর নেন। রাজ্যসভা চিরস্থায়ী ও অধিকতর স্থায়ী কক্ষ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর লোকসভার বিলুপ্তি ও পুনঃনির্বাচন ঘটে। কিন্তু রাজ্যসভা ভেঙে দেওয়া প্রায় অসম্ভব এবং অসাংবিধানিক। সংগ্ৰহসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য সব বিষয়ে রাজ্যসভা লোকসভার সমান মর্যাদা মধ্যমণি হয়। সংগ্ৰহসংক্রান্ত বিষয়ে লোকসভার ক্ষমতা রাজ্যসভার চেয়ে অধিকতর বেশি। কোনো বিষয় নিয়ে দুই কক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়। তবে লোকসভার আকার রাজ্যসভার প্রায় দশগুণ হওয়ায়, যৌথ অধিবেশনে লোকসভারই শক্তি বেশি থাকে। আজ পর্যন্ত সংসদে মাত্র তিনটি যৌথ অধিবেশন বসেছে। শেষ যৌথ অধিবেশনটি বসেছিল ২০০২ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইন পোটা পাস করানোর জন্য।

ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তাঁর অনুপস্থিতিতে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান সভার দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান সদস্যদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার প্রথম অধিবেশন বসেছিল ১৩ মে, ১৯৫২।[১৯]

লোকসভা

লোকসভা (ইংরেজি: Lok Sabha বা House of the People; হিন্দি: लोक सभा) ভারতের দ্বিকক্ষ সংসদের নিম্নকক্ষ, যার উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা। এই কক্ষের সদস্যরা প্রত্যক্ষভাবে জনগণ কর্তৃক ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন, এবং লোকসভার সদস্যগণ সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁদের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর বা যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রণাবলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক লোকসভা বিলুপ্ত হয়ে যায়। নয়াদিল্লির সংসদ ভবনে লোকসভার অধিবেশন আয়োজিত হয়।

ভারতের সংবিধান অনুযায়ী লোকসভার সদস্যদের সর্বোচ্চ আসনসংখ্যা ৫৫২টি,[২০] যা ১৯৫০ সালে ছিল ৫০০টি। বর্তমানে লোকসভাতে ৫৪৩টি আসন রয়েছে এবং নির্বাচনের পর এই আসনগুলো সর্বোচ্চ ৫৪৩ জন নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ১৯৫২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রণা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায় থেকে সর্বোচ্চ দুইজন সদস্যকে মনোনীত করতেন। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সংবিধান (একশত চতুর্থ সংশোধন) আইন, ২০১৯ বলবৎ করে এই প্রথার অবসান ঘটানো হয়েছিল।[২১][২২] নতুন সংসদ ভবনের লোকসভা কক্ষের ধারণক্ষমতা ৮৮৮ জন।[২৩]

মোট ১৩১টি আসন (২৪.০৩%) তফসিলি জাতি (৮৪টি) ও তফসিলি জনজাতির (৪৭টি) মধ্যে সংরক্ষিত। লোকসভার কোরাম মোট সদস্যের ১০%। আগেই বিলুপ্ত না হলে লোকসভা তার প্রথম অধিবেশনের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অবধি পরিচালনা করে। তবে জরুরি অবস্থা জারি থাকলে সংসদ আইনবিধির মাধ্যমে এর মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারে।[২৪][২৫]

ভারতের জনগণনার ভিত্তিতে ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশন লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে, এবং ২০১১ সালে লোকসভা কেন্দ্রের সর্বশেষ সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।[২৬] আগে এই পুনর্নির্ধারণের মধ্যে জনপরিসংখ্যানের পরিবর্তনের ভিত্তিতে আসন পুনর্বণ্টন করা হতো, কিন্তু ১৯৭৬ সালে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির প্রভাব এড়াতে একটি বিশেষ সংবিধান সংশোধনের দ্বারা এই কাজ স্থগিত করা হয়েছে।[২৭]

লোকসভার লাইভ কর্মকাণ্ড সংসদ টিভি চ্যানেলে প্রচার করা হয়, যার সদরদপ্তর সংসদ ভবন চত্বরেই অবস্থিত।[২৮]

তথ্যসূত্র

  1. "Droupadi Murmu takes oath as the 15th President of India"The Hindu। New Delhi, India। ২৫ জুলাই ২০২২। ২৫ জুলাই ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২২ 
  2. "Jagdeep Dhankhar sworn in as 14th Vice-President of India"The Times of India। Mumbai, India। ১১ আগস্ট ২০২২। 
  3. "Harivansh Narayan Singh re-elected Rajya Sabha deputy chairman | India News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  4. "Minister Piyush Goyal To Be Leader Of House in Rajya Sabha"NDTV। ১৪ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২১ 
  5. "Om Birla unanimously elected Lok Sabha Speaker, PM Modi heaps praise on BJP colleague"India Today (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ জুন ২০১৯। ২০ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৯ 
  6. "Narendra Modi is sworn in as the 15th Prime Minister of India"The Times of India। ২৬ মে ২০১৪। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৪ 
  7. "Nominated Members of Rajya Sabha"Rajya Sabha। ২৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২২ 
  8. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; পুরনো সংসদ ভবন (ভারত) HT20 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; পুরনো সংসদ ভবন (ভারত) Drishti নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  10. R.I.C. Publications (২০০৭)। Democracy – Power to the people। R.I.C. Publications। পৃষ্ঠা 59। আইএসবিএন 978-1-74126-671-9। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  11. Thorpe, Vandana (১ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। The Pearson Guide To Bank Probationary Officer Recruitment Examinations। Pearson Education India। পৃষ্ঠা 12। আইএসবিএন 978-81-317-1568-0। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১২ 
  12. "Indian Elections"। ৯ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১২ 
  13. Kapoor, Subodh (১ জুলাই ২০০২)। The Indian Encyclopaedia। Cosmo Publications। পৃষ্ঠা 2219। আইএসবিএন 978-81-7755-257-7। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১২ 
  14. "Article 53 in The Constitution Of India 1949"। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১২ 
  15. Ministry of Law and justice, Govt of India: "Constitution of India, updated up to 94th Amendment Act", page 26,The Constitution of India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে
  16. Gerald James Larson (১৯৯৫)। India's Agony Over Religion। SUNY Press। পৃষ্ঠা 2–। আইএসবিএন 978-0-7914-2411-7। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১২ 
  17. Pradhan, Bibhudatta (১৯ জুলাই ২০০৭)। "Patil Poised to Become India's First Female President"Bloomberg.com। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০০৭ 
  18. "Election for new President on July 19"The Indian Express। ১২ জুন ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২ 
  19. "OUR PARLIAMENT"। Indian Parliament। ১৭ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১১ 
  20. "Lok Sabha"loksabha.nic.in। ৩১ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  21. "Anglo Indian Representation To Lok Sabha, State Assemblies Done Away; SC-ST Reservation Extended For 10 Years: Constitution (104th Amendment) Act To Come Into Force On 25th Jan"livelaw.in। ২৩ জানুয়ারি ২০২০। ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২০ 
  22. "The Constitution (One hundred and fourth amendment) Act, 2019" (পিডিএফ)The Gazette of India Extraordinary। ২১ জানুয়ারি ২০২০। 
  23. Shankar, B.L.; Rodrigues, Valerian (১৩ জানুয়ারি ২০১১)। The Lok Sabha and the Rajya Sabha। The Indian Parliament। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 292–328। আইএসবিএন 978-0-19-806772-6ডিওআই:10.1093/acprof:oso/9780198067726.003.0008। ১৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  24. "Parliament of India: Lok Sabha"। ১ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. Part V—The Union. Article 83. p. 40 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে
  26. "A decade from now, three states will contribute a third of Lok Sabha MPs"। ৬ মে ২০১৬। ৮ মে ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  27. Election Commission India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে
  28. "SansadTV Live"SansadTV। ২৪ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৩ 

বহিঃসংযোগ