অ্যাসক্যারিয়াসিস
অ্যাসক্যারিয়াসিস | |
---|---|
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ, helminthologist |
অ্যাস্কারিয়াসিস | |
---|---|
সংখ্যায় অনেকascaris কৃমি – দেখতে কালো কৌনিক আকার – ভর্তি duodenum, পাকস্থালীর প্রথম অংশের বুদবুদে , এটা উত্তর আফ্রিকার রোগীর (X-ray image with barium as contrast medium) | |
বিশেষত্ব | Infectious disease |
লক্ষণ | পেট ফুলে-ফাফা, পেট ব্যথা, ডাইরিয়া, দম কমা[১] |
কারণ | অ্যাসকেরিসasceris এর ডিম খেলে[২] |
প্রতিরোধ | উন্নত স্যানিটেশন sanitation, হ্যান্ডওয়াশ handwashing[১] |
ঔষধ | অ্যালবেনডাজল Albendazole, মিবেনডাজল mebendazole, লিভামিজলlevamisole,পাইরেনটেল পেওমোট (pyrantel pamoate)[২] |
সংঘটনের হার | ৭৬২ মিলিয়ন (২০১৫)[৩] |
মৃতের সংখ্যা | 2,700 (2015)[৪] |
অ্যাস্কারিয়াসিস হলো একধরনের রোগ। এটা মূলত গোলকৃমির জন্য হয়ে থাকে। সাধারণত প্রায় ৮৫% মানুষের কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। করণ সংখ্যায় কম থাকে। আস্তে আস্তে গোলকৃমির সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণগুলো হলো শ্বাস বা দম কমে যায়। থেকে থেকে জ্বর আসে। পেট ফুলে। পেট ব্যথা করে। ডাইরিয়া হতে পারে ইত্যাদি। গোলকৃমির জন্য কিছু পরজীবী দ্বায়ী। পরজীবীর নাম হলো অ্যাসকেরিস লুমব্রিকডিস(Ascaris lumbricoides)। এই পরজীবী নিজেদের অসাবধানতায় শরীরে প্রবেশ করে। বিশেষত ছোট শিশুরা এর আক্রমণের শিকার। সাধারণতঃ বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হয়। কম বয়সের কারণে সংক্রমণে ওজনহ্রাস, অপুষ্টি ও শিখতে ব্যঘাত ঘটে। গোলকৃমির ডিম প্রাণীর মলের সাথে বাহিরে পরিবেশে আসে। গোলকৃমি দিনে দুই লক্ষ(২,০০,০০০) ডিম দেয়। পরিবেশের সংস্পর্শে ডিম থেকে ৩টি ধাপে লার্ভার জন্ম। লার্ভা বিভিন্ন খাবার, পানির সাথে মিশে। লার্ভা মিশ্রিত খাবার প্রাণী বা মানুষের পাকস্থালীতে আসে। পাকস্থালী থেকে ক্ষুদ্রান্তে পৌঁছে। লার্ভা ক্ষুদ্রান্তে পূর্ণ গোলকৃমিতে পরিণত হয়। গোলকৃমির লার্ভা ক্ষুদ্রান্তে শক্তি অর্জন করে। নাড়িভুড়ির পর্দা ভেদ করে। রক্তে মিসে যায়। রক্তের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌছায়। ফুসফুসে অ্যাালভেলি ভেদ করে। ট্রাকিয়ায় চলে আসে। ট্রাকিয়ার ক্বফ ও থুথুর সাথে মিশে। এর জন্য এই পরজীবী রাসায়নিক নিঃসৃত করে। শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রম কিছুটা ব্যঘাত করে। শিশুদের নিজেদের ক্বফ খেতে উদ্বুদ্ধ করে। পরজীবীর লার্ভা পুনরায় পাকস্থালীতে আসে। শেষে ক্ষুদ্রান্তে। এভাবে শরীরের ভিতরে জীবন চক্র চালায়। আবার বাহিরে ডিম তো আছে। পরজীবীর হাত থেকে বাঁচতে প্রধান কাজ স্যনেটেশন উন্নত করা। যথার্থ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। খাবারের পূর্বে হাত সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালো করে ধোয়া জরুরী। জমির জৈব সার হিসেবে মানুষের মল ব্যবহার না করা। আক্রান্ত জনগণ ২০% এর বেশি। সেসব এলাকায় খুব সতর্ক থাকা। নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) কর্তৃক কিছু ঔষধ উপদেশ দেয়া হয়েছে। সেগুলো অ্যালবেন্ডাজল( albendazole), মিবেনডাজল(mebendazole), লিভামিজল(livamisole), পাইরান্টাল পামোট(pyrantel pamoate) ইত্যাদি। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত আশি লক্ষ(৮০,০০,০০০) থেকে এক কোটি বিশ লক্ষ(১,২০,০০,০০০) মানুষ গোলকৃমিতে আক্রান্ত হয়েছে।
লক্ষণ ও চিহ্ন
[সম্পাদনা]ক্ষুদ্রান্তে ভর্তি কৃমি
[সম্পাদনা]কারণ
[সম্পাদনা]অ্যাস্কারিয়াসিস হ’ল অ্যাস্কারিস লুম্ব্রিকয়ডিস নামক এক পরজীবী কীটরাউন্ড ওয়ার্মঘটিত রোগ ।[১] 85%-এর বেশি ক্ষেত্রে সংক্রমণে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না, বিশেষতঃ যদি পরজীবী কীটের সংখ্যা স্বল্প হয়।[১] উপস্থিত পরজীবী কীটের সংখ্যাবৃদ্ধির সাথে লক্ষণগুলিও বৃদ্ধি পায় এবং রোগের শুরুতে এগুলির সাথে জ্বর ওশ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।[১] এরপর আসতে পারে পেট ফোলা, পেট ব্যথা ও ডায়েরিয়ার লক্ষণগুলি।[১] সাধারণতঃ বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হয় আর এই বয়সে সংক্রমণের কারণে ওজনহ্রাস, অপুষ্টি ও শেখার সমস্যারও সৃষ্টি হয়।[১][২][৬]
বিষ্ঠার “অ্যাস্কারিস” ডিম্বাণু সংক্রামিত খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করলে সংক্রমণ ঘটে। [২] ডিম্বাণুগুলি অন্ত্রেপ্রতিপালিত হয়ে মলনিষ্কাশী নালিতে প্রোথিত হয়, এবং রক্তেরমাধ্যমে ফুসফুসে পরিবাহিত হয়। [২] সেখানে এগুলি অ্যালভিওলিতে ভেঙে যায় এবং and pass up the tracheaতে ঢুকে যায়, সেখানে সেগুলি সর্দিতে পরিণত হয়ে গলা দিয়ে নেমে যায়। [২] লার্ভা পাকস্থলী হয়ে অন্ত্রের ভিতর দ্বিতীয়বার ঢুকে প্রাপ্তবয়স্ক কীটে পরিণত হয়।[২]
উন্নত শৌচাগারএবং যথাযথ মলনিষ্কাষণব্যবস্থা সংবলিত উন্নত স্যানিটেশনের মাধ্যমে প্রতিরোধ সম্ভব। [১][৭] প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়া আবশ্যক। [৮] যেখানে 20%-এর উপর জনসংখ্যা আক্রান্ত, সেখানে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে প্রত্যেকের চিকিৎসা করার সুপারিশ করা হচ্ছে। [১] বারংবার সংক্রমণ ঘটাও এর বৈশিষ্ট্য।[২][৯] এর কোন ভ্যাক্সিন বা টিকানেই।[২] Treatments recommended by the বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত ওষুধগুলি হল আলবেন্ডাজোল, মেবেন্ডাজোল, লেভামিসোল বা পাইরান্টেল পামোট। [২] অন্যান্য কার্যকরীএজেন্টের মধ্যে আছে ট্রাইবেন্ডিমিডাইন এবং নিটাজোক্সানাইড.[২]
অ্যাস্কারিয়াসিসের সংক্রমণে বিশ্ব জুড়ে প্রায় 0.8 থেকে 1.2 বিলিয়ন লোক আক্রান্ত। সাব-সাহারান আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, ও এশিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।[১][১০][১১] এইজন্য অ্যাস্কারিয়াসিস বর্জ্য-পরিবাহিত কীটাণু ঘটিত সংক্রমণেরসর্বপ্রধান প্রকার হিসাবে বিবেচিত হয়।[১০] এর কারণে 1990 সালে 3,400 মৃত্যু 2010 সালে কমে দাঁড়িয়েছে 2,700। [১২] Another type of অ্যাস্কারিস –এর অপর এক প্রকারে শূকরের সংক্রমণ ঘটে। nfects pigs.[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট Dold, C; Holland, CV (জুলাই ২০১১)। "Ascaris and ascariasis."। Microbes and infection / Institut Pasteur। 13 (7): 632–7। ডিওআই:10.1016/j.micinf.2010.09.012। পিএমআইডি 20934531।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট Hagel, I; Giusti, T (অক্টো ২০১০)। "Ascaris lumbricoides: an overview of therapeutic targets."। Infectious disorders drug targets। 10 (5): 349–67। ডিওআই:10.2174/187152610793180876। পিএমআইডি 20701574।
- ↑ GBD 2015 Disease and Injury Incidence and Prevalence, Collaborators. (৮ অক্টোবর ২০১৬)। "Global, regional, and national incidence, prevalence, and years lived with disability for 310 diseases and injuries, 1990-2015: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2015"। Lancet। 388 (10053): 1545–1602। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(16)31678-6। পিএমআইডি 27733282। পিএমসি 5055577 ।
- ↑ GBD 2015 Mortality and Causes of Death, Collaborators. (৮ অক্টোবর ২০১৬)। "Global, regional, and national life expectancy, all-cause mortality, and cause-specific mortality for 249 causes of death, 1980-2015: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2015"। Lancet। 388 (10053): 1459–1544। ডিওআই:10.1016/s0140-6736(16)31012-1। পিএমআইডি 27733281। পিএমসি 5388903 ।
- ↑ Fincham, J., Dhansay, A. (2006). Worms in SA's children – MRC Policy Brief ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে. Nutritional Intervention Research Unit of the South African Medical Research Council, South Africa
- ↑ "Soil-transmitted helminth infections Fact sheet N°366"। World Health Organization। জুন ২০১৩।
- ↑ Ziegelbauer, K; Speich, B; Mäusezahl, D; Bos, R; Keiser, J; Utzinger, J (জানু ২০১২)। "Effect of sanitation on soil-transmitted helminth infection: systematic review and meta-analysis."। PLoS medicine। 9 (1): e1001162। ডিওআই:10.1371/journal.pmed.1001162। পিএমআইডি 22291577। পিএমসি 3265535 ।
- ↑ Fung, IC; Cairncross, S (মার্চ ২০০৯)। "Ascariasis and handwashing."। Transactions of the Royal Society of Tropical Medicine and Hygiene। 103 (3): 215–22। ডিওআই:10.1016/j.trstmh.2008.08.003। পিএমআইডি 18789465।
- ↑ Jia, TW; Melville, S; Utzinger, J; King, CH; Zhou, XN (২০১২)। "Soil-transmitted helminth reinfection after drug treatment: a systematic review and meta-analysis."। PLoS neglected tropical diseases। 6 (5): e1621। ডিওআই:10.1371/journal.pntd.0001621। পিএমআইডি 22590656। পিএমসি 3348161 ।
- ↑ ক খ Keiser, J; Utzinger, J (২০১০)। "The drugs we have and the drugs we need against major helminth infections."। Advances in parasitology। 73: 197–230। ডিওআই:10.1016/s0065-308x(10)73008-6। পিএমআইডি 20627144।
- ↑ Fenwick, A (মার্চ ২০১২)। "The global burden of neglected tropical diseases."। Public health। 126 (3): 233–6। ডিওআই:10.1016/j.puhe.2011.11.015। পিএমআইডি 22325616।
- ↑ Lozano, R (ডিসে ১৫, ২০১২)। "Global and regional mortality from 235 causes of death for 20 age groups in 1990 and 2010: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2010."। Lancet। 380 (9859): 2095–128। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(12)61728-0। পিএমআইডি 23245604।