আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর
আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর | |
---|---|
জন্ম | ৬২৪-৬৯৯/৭০২/৭০৪ |
সমাধি | জান্নাতুল বাকি |
দাম্পত্য সঙ্গী | যায়নাব বিনতে আলী |
সন্তান |
|
পিতা-মাতা | জাফর ইবনে আবি তালিব (পিতা) আসমা বিনতে উমাইস (মাতা) |
আত্মীয় |
|
আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর ( আরবি: عبد الله بن جعفر) (খ্রি. ৬২৪-৬৯৯/৭০২/৭০৪) ছিলেন নবী মুহাম্মদ (সা) এর একজন সাহাবি এবং আত্মীয়, আলী ইবনে আবী তালিবের ভাগ্নে এবং মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর এর সৎভাই। কারবালার যুদ্ধে অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তিনি আহলে বাইতের প্রতি অনুগত ছিলেন। তিনি বলেছেন যে: “সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ধন্যবাদ, আমি কারবালায় আল-হুসেন ইবনে আলীকে সমর্থন করতে পারি নি, কিন্তু আমার দুই ছেলে (আউন ও মুহাম্মদ) তা করেছিল।”[১] রিচার্ড ফ্রান্সিস বার্টনের মতে তিনি আরবদের মধ্যে সবচেয়ে সহানুভূতিশীল হিসাবে স্বীকৃত। তাঁর কবর জনাতুয়াল বাকীর আকীল ইবনে আবি তালিব ও আবু সুফিয়ান বিন আল হরিথ (আবদু মুত্তালিবের নাতি) এর নিকটে অবস্থিত।[২]
জীবনের প্রথমার্ধ
[সম্পাদনা]তিনি জাফর ইবনে আবু তালিব ও আসমা বিনতে উমাইসের পুত্র ছিলেন। তারা ৬১৬ সালে আবিসিনিয়ায় হিজরতের জন্য চলে যান এবং আবদুল্লাহ ও তার দুই ভাই সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন।[৩] :১৯৬ আব্বাসিনিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মুসলমানদের মধ্যে আবদুল্লাহ ছিলেন প্রথম[৪] আব্বাসিনিয়ায় (হাবাশা বর্তমানে ইথিওপিয়া) আবদুল্লাহর জন্মের পরে , আকসুম রাজ্যের রাজা (আল-নাজাশি)রও একটি ছেলের সন্তান লাভ করেন। তিনি তৎক্ষণাত আবদুল্লাহ ইবনে জাফরের পিতামাতাকে তাদের সন্তানের নাম জিজ্ঞাসা করলেন। জাফর পরিবারের নাম জেনে আবিসিনিয়ার রাজাও তার প্রথম ছেলের জন্য "আবদুল্লাহ" নামটি বেছে নেন। আরও বলা হয়েছে যে, আসমা বিনতে উমাই আবিসিনিয়ার রাজার ছেলের দেখভাল করতেন।[৫] তাদের পরিবার 628 সালে আরব ফিরে এসে মদিনায় স্থায়ী হয়। :১৯৬
বিবাহ এবং পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]আলীর বিশেষত কামনা করেছিলেন যে তাঁর মেয়েরা যেনো জাফরের ছেলেদের বিয়ে করে।[৩] :২৯৯ আবদুল্লাহ জয়নবকে বিয়ে করতে চাইলে আলী তা গ্রহণ করলেন।[৬] আবদুল্লাহ ও জয়নবের পাঁচ সন্তান ছিল।
- আলী ইবনে আবদুল্লাহ।
- আওন ইবনে আবদুল্লাহ।
- আব্বাস ইবনে আবদুল্লাহ।
- মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ।
- উম্মে কুলথুম বিনতে আবদুল্লাহ।[৩] :৩০০
শায়খ মুহাম্মদ আব্বাস ক্বমির মতে, জয়নব বিনতে আলীর পাঁচ সন্তান সহ বিভিন্ন স্ত্রী থেকে তাঁর ২০ পুত্র ছিল।[৬] :৩১
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Shahin, Badr (২০০২)। Lady Zaynab (English ভাষায়)। Ansariyan Publications। পৃষ্ঠা 82। আইএসবিএন 964-438-399-0।
- ↑ Francis Burton, Sir Richard (১৮৯৩)। Personal Narrative of a Pilgrimage to Al-Madinah & Meccah, Volume 2 (English ভাষায়)। The Meccan Press, 3 Soho Square, London, W। পৃষ্ঠা 44।
- ↑ ক খ গ Muhammad ibn Saad. Kitab al-Tabaqat al-Kabir vol. 8. Translated by Bewley, A. (1995). The Women of Madina. London: Ta-Ha Publishers.
- ↑ Dr. Ayman Odaibat, Dr. Mona Borhan Ghazal (Al Refai) (৩ মার্চ ২০১৩)। Virtuous Women In Mythology and Holy Books (English translation from Arabic) (English ভাষায়)। Author House। পৃষ্ঠা 189।
- ↑ Khan, Ashfaq Ahmed। Sakhawat Ka Darya the 5th series of books "Daur-e-Nabuwat kay bacchay (Children during Prophethood) (Urdu ভাষায়)। Darus Salam (International publisher)। পৃষ্ঠা 12।
- ↑ ক খ Akbar Rizvi, Syed Ali (২০০৭)। Bibi Zainab (s.a) - Granddaughter of Prophet Muhammad (pbuh) (English ভাষায়)। Idara Tarveej-e-Uloom-e-Islamia। পৃষ্ঠা 30।