আশীষ নেহরা

আশীষ নেহরা

২০১০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে আশীষ নেহরা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম	আশীষ দেওয়ানসিং নেহরা
জন্ম	(1979-04-30) ৩০ এপ্রিল ১৯৭৯ দিল্লি, ভারত
ডাকনাম	নেহরাজি
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল	ভারত (১৯৯৯ - ২০১১)
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২০)	২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট	১৩ এপ্রিল ২০০৪ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩৭)	২১ জুন ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই	৩০ মার্চ ২০১১ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই শার্ট নং	৬৪
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ২৫)	৯ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টি২০আই	৯ জানুয়ারি ২০১১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছর	দল
১৯৯৭-বর্তমান	দিল্লি
২০০৮	মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
২০০৯-২০১০	দিল্লি ডেয়ারডেভিলস
২০১১-২০১২	পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া
২০১৩	দিল্লি ডেয়ারডেভিলস
২০১৪-বর্তমান	চেন্নাই সুপার কিংস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ ম্যাচ সংখ্যা ১৭ ১১৭ ৭৮ ১৭৪ রানের সংখ্যা ৮০ ১৪০ ৫১৫ ৩৪১ ব্যাটিং গড় ৫.৫০ ৬.০৮ ৮.৩০ ৮.৩১ ১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০ সর্বোচ্চ রান ১৯ ২৪ ৪৩ ২৪ বল করেছে ৩৪৪৭ ৫৬০৯ ১৪৮২৯ ৮৪০৬ উইকেট ৪৪ ১৫৪ ২৫৭ ২১৭ বোলিং গড় ৪২.৪০ ৩১.৫৬ ২৯.৮৭ ৩২.১৩ ইনিংসে ৫ উইকেট ০ ২ ১২ ২ ম্যাচে ১০ উইকেট ০ - ৪ - সেরা বোলিং ৪/৭২ ৬/২৩ ৭/১৪ ৬/২৩ ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ১৭/– ২৪/– ২৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ জানুয়ারি ২০১১

আশীষ দেওয়ানসিং নেহরা (; হিন্দি: आशीष नेहरा; জন্ম: ২৯ এপ্রিল, ১৯৭৯) দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ও সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৯৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ভারত ক্রিকেট দলে টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন ‘নেহরাজি’ ডাকনামে পরিচিত আশীষ নেহরা।

খেলোয়াড়ী জীবন

১৯৯৯ সালে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত টেস্টের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। খেলার শুরুতে মারভান আতাপাত্তুকে আউট করলেও পরবর্তীকালে তিনি কোন উইকেট লাভে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেননি।

২০০১ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে নেহরার। অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলকে নিজস্ব ২য় বলে আউট করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। গ্রুপ-পর্বে ডারবানে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ২৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট লাভ করেন, যা তার ব্যক্তিগত ও বিশ্বকাপে সেরা ভারতীয় বোলিং পরিসংখ্যান। এছাড়াও বিশ্বকাপের অন্যান্য খেলাগুলোতেও তিনি ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ক্রীড়াশৈলীর অবস্থান বজায় না রাখা ও পুণঃপুণঃ পিঠ এবং গোড়ালির আঘাতের ফলে তিনি ভারতীয় দলে নিজস্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি। খেলোয়াড়ী জীবনে টেস্টের চেয়ে ওডিআইয়েই অধিক সফল তিনি। কিন্তু উইকেট প্রতি গড় রান প্রদানে ইরফান পাঠান, জহির খান ও অজিত আগরকরের চেয়ে বেশি দিয়েছেন। জহির খানের আঘাতপ্রাপ্তিতে চার বছর পর জুন, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতের একদিনের দলে জায়গা পান।

ঘরোয়া ক্রিকেট

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ শহর দিল্লির হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। গোঁড়ালির আঘাত থেকে মুক্ত হয়ে ২০০৭-০৮ মৌসুমে দিল্লি রঞ্জি ট্রফি দলে খেলেন। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় মৌসুমে অসম্ভব ক্রীড়নৈপুণ্য প্রদর্শন করে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেন ও সংবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ৭ মে, ২০০৮ তারিখে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলের পক্ষাবলম্বন করেন। ২০১১ সালে পুনে ওয়ারিয়র্স দলে ৩.৯১ কোটি রূপির বিনিময়ে সদস্য হন। কিন্তু ৪র্থ আইপিএলে কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণের পর ডানহাতের আঙ্গুলে ফাটল ধরায় তিনি মাঠের বাইরে অবস্থান করেন। ৫ম আইপিএলে তিনি পুনরায় ফিরে আসেন। ৬ষ্ঠ আইপিএলে রস টেলরের সাথে তিনিও দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৪ সালের আইপিএলের নিলামে ২ কোটি রূপির বিনিময়ে চেন্নাই সুপার কিংস তাকে কিনে নেয়। ২০১৩-১৪ মৌসুমের রঞ্জি ট্রফিতে বিদর্ভের বিপক্ষে ১৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট লাভ করেন। এরফলে দিল্লির রোশনারা ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় বিদর্ভের ইনিংস মাত্র ৮৮ রানে গুড়িয়ে যায়।

আরও দেখুন

• জহির খান
• ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল
• এশিয়ান একাদশ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা

বহিঃসংযোগ

• ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আশীষ নেহরা (ইংরেজি)

• ক্রিকেটআর্কাইভে আশীষ নেহরা (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)