মতিউর রহমান (বীর বিক্রম)
মতিউর রহমান | |
---|---|
মৃত্যু | ১ জুন, ১৯৮১ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
কর্মজীবন | ১৯৬৭—১৯৮১ |
প্রতিষ্ঠান | |
পরিচিতির কারণ | |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফারহানা সুলতানা |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | বীর বিক্রম |
মতিউর রহমান (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ১ জুন, ১৯৮১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে। [১]
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]মতিউর রহমানের জন্ম তৎকালীন যশোর জেলায় (বর্তমান: শ্রীপুর, হরিনাকুন্ডু, ঝিনাইদহ জেলা) । তার বাবার নাম রোয়াজেশ আলী জোয়ারদার এবং মায়ের নাম হাজেরা খাতুন। তার স্ত্রীর নাম ফারহানা সুলতানা। তাদের দুই মেয়ে।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মতিউর রহমান চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানে । মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সেখান থেকে পালিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দেন। প্রথমে ৬ নম্বর সেক্টরের সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টরে, পরে পাটগ্রাম সাব-সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি পাটগ্রাম সাব-সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন। পাটগ্রাম সাব-সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল লালমনিরহাট জেলার বড়খাতা, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও পাটগ্রাম। এই সাব-সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধকালে অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কয়েকটি যুদ্ধে মতিউর রহমান নিজে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন। এর মধ্যে তিস্তা রেলসেতুর যুদ্ধ, হাতীবান্ধা আক্রমণ, শঠিবাড়ির যুদ্ধ, কাকিনা আক্রমণ উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালের নীলফামারী জেলার শঠিবাড়ি এলাকায় যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন মতিউর রহমান। অন্ধকার রাত। অন্যদিকে ঝড়বৃষ্টি। তার মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধারা বেরিয়ে পড়লেন। হেঁটে দ্রুত পৌঁছালেন লক্ষ্যস্থল শঠিবাড়িতে। প্রথমে মর্টার দিয়ে প্রথম ফায়ার ওপেন হওয়ার পর পাকিস্তানি সেনারা কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়লো। তবে পরক্ষণেই পাল্টা আক্রমণ চালায় তারা। যুদ্ধে ১৫ জন পাকিস্তানি নিহত হয়। ১৫ জনের সাতজন ছিল সেনাবাহিনীর। অপর আটজন ছিল ইপিকাপ। আহত হয় অনেক। এই যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং তিনজন গুরুতরভাবে আহত হন। [২]
পুরস্কার ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১০-০৬-২০১২"। ২০১৭-০৫-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৩।
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ১১৬। আইএসবিএন 9789849025375।