লিলিয়ান গিশ
লিলিয়ান গিশ | |
---|---|
Lillian Gish | |
জন্ম | লিলিয়ান ডায়ানা গিশ ১৪ অক্টোবর ১৮৯৩ |
মৃত্যু | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৯৯)
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯০২–১৯৮৮ |
পিতা-মাতা | ম্যারি রবিনসন ম্যাকনেল (মাতা) জেমস লেই গিশ (পিতা) |
আত্মীয় | ডরোথি গিশ (বোন) |
লিলিয়ান ডায়ানা গিশ[ক] (ইংরেজি: Lilian Diana Gish; ১৪ অক্টোবর ১৮৯৩ - ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩) ছিলেন একজন চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেত্রী এবং পরিচালক ও লেখক। ১৯১২ সালে নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তার কর্মজীবনের ব্যপ্তি ছিল ৭৫ বছর। তাকে মার্কিন চলচ্চিত্রের ফার্স্ট লেডি হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং চলচ্চিত্র অভিনয়ের মৌলিক কৌশলের অগ্রদূত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[১] আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাকে ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রের সেরা নারী তারকা তালিকায় ১৭তম স্থান প্রদান করে।[২]
গিশ ১৯১২ থেকে ১৯২০-এর দশক পর্যন্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা ছিলেন, বিশেষ করে পরিচালক ডি ডব্লিউ গ্রিফিথের সাথে কাজের জন্য। গ্রিফিথের পরিচালনায় তার অভিনীত দ্য বার্থ অব আ নেশন (১৯১৫) নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। সবাক চলচ্চিত্র যুগের প্রারম্ভে তিনি মঞ্চে ফিরে যান এবং চলচ্চিত্রে মাঝে মাঝে কাজ করতেন। এই সময়ে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল বিতর্কিত পশ্চিমা ধারার ডুয়েল ইন দ্য সান (১৯৪৬) ও অববিট রোমহর্ষক দ্য নাইট অব দ্য হান্টার (১৯৫৫)। ডুয়েল ইন দ্য সান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৫০-এর দশকের শুরু থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকে কাজ করেন, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৮৭ সালে বেটি ডেভিসের সাথে দ্য হোয়ালস অব অগাস্ট দিয়ে। পরবর্তী কালে তিনি নির্বাক চলচ্চিত্রের সংরক্ষণে নিমগ্ন ছিলেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তাকে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়। চলচ্চিত্রের জন্য সুখ্যাতি অর্জন করলেও গিশ একজন অসাধারণ মঞ্চ অভিনেত্রীও ছিলেন এবং ১৯৭২ সালে আমেরিকান থিয়েটার হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]গিশ ১৮৯৩ সালের ১৪ই অক্টোবর ওহাইওর স্প্রিংফিল্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ম্যারি রবিনসন ম্যাকনেল (১৮৭৬-১৯৪৮) ছিলেন একজন অভিনেত্রী এবং পিতা জেমস লেই গিশ (১৮৭৩-১৯১২)।[৩] তিনি তার পিতামাতার প্রথম সন্তান। তার ছোট বোন ডরোথিও পরবর্তী কালে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা হয়ে ওঠেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]গিশের মঞ্চনাটকে অভিষেক ঘটে ১৯০২ সালে ওহাইওর রাইজিংসানের লিটল রেড স্কুল হাউজে। ১৯০৩ থেকে ১৯০৪ সাল পর্যন্ত গিশ হার ফার্স্ট ফলস স্টেপ মঞ্চনাটক নিয়ে তার মাতা ও ডরোথির সাথে সফরে যান। পরের বছর তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে সারা বেরনার্তের সাথে একটি নাটকে নৃত্য পরিবেশন করেন।
১০ বছর মঞ্চে অভিনয়ের পর গিশ তার ডরোথির সাথে ডি ডব্লিউ গ্রিফিথের স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যান আনসিন এনিমি (১৯১২) দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। ১৯১০ ও ১৯২০-এর দশকে গ্রিফিথের পরিচালনায় একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। গ্রিফিথের পরিচালনায় তার অভিনীত দ্য বার্থ অব আ নেশন (১৯১৫) নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। এছাড়া গ্রিফিথের পরিচালনায় তার অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হল ইনটলারেন্স (১৯১৬), ব্রোকেন ব্লোজমস (১৯১৯), ওয়ে ডাউন ইস্ট (১৯২০), ও অরফান্স অব দ্য স্ট্রর্ম (১৯২১)।
সবাক চলচ্চিত্র যুগের প্রারম্ভে তিনি মঞ্চে ফিরে যান এবং চলচ্চিত্রে মাঝে মাঝে কাজ করতেন। এই সময়ে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল বিতর্কিত পশ্চিমা ধারার ডুয়েল ইন দ্য সান (১৯৪৬) ও অববিট রোমহর্ষক দ্য নাইট অব দ্য হান্টার (১৯৫৫)। ডুয়েল ইন দ্য সান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৫০-এর দশকের শুরু থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকে কাজ করেন, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৮৭ সালে বেটি ডেভিসের সাথে দ্য হোয়ালস অব অগাস্ট দিয়ে। পরবর্তী কালে তিনি নির্বাক চলচ্চিত্রের সংরক্ষণে নিমগ্ন ছিলেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তাকে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়। চলচ্চিত্রের জন্য সুখ্যাতি অর্জন করলেও গিশ একজন অসাধারণ মঞ্চ অভিনেত্রীও ছিলেন এবং ১৯৭২ সালে আমেরিকান থিয়েটার হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ অসমর্থিত কয়েকটি দাবী রয়েছে যে গিশ ভগ্নীদ্বয় "দ্য গুইশে" বংশনাম নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তবে মূলত জন্মের সময়েই তাদের বংশনাম ছিল "গিশ"। চার্লস অ্যাফ্রনের জীবনীমূলক হার লেজেন্ড, হার লাইফ (Her Legend, Her Life, ২০০১) বইতে লিলিয়ান গিশ নিজেই বলেন: "The Gish name was initially the source of some mystification. In 1922, at the time of the opening of Orphans of the Storm, Lillian reported that the Gish family was of French origin, descending from the Duke de Guiche ... [S]uch press-agentry falsification was common."
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "American Film Institute - 1984 Lillian Gish Tribute"। এএফআই। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "AFI's 100 Years...100 Stars"। এএফআই। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। ১৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "James Gish"। অ্যানসেস্ট্রি। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে লিলিয়ান গিশ (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লিলিয়ান গিশ (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে লিলিয়ান গিশ (ইংরেজি)
- ১৮৯৩-এ জন্ম
- ১৯৯৩-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অভিনেত্রী
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন লেখিকা
- ওহাইওর অভিনেত্রী
- জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- মার্কিন আত্মজীবনীকার
- মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- মার্কিন টেলিভিশন অভিনেত্রী
- মার্কিন টেলিভিশন উপস্থাপক
- মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- মার্কিন বেতার অভিনেত্রী
- মার্কিন মঞ্চ অভিনেত্রী
- মার্কিন শিশু অভিনেত্রী
- একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার বিজয়ী
- এএফআই আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রাপক
- কেনেডি সেন্টার সম্মাননা প্রাপক
- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার বিজয়ী
- আমেরিকান থিয়েটার হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি
- মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের চুক্তিবদ্ধ শিল্পী
- নিউ ইয়র্ক শহরের অভিনেত্রী
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অ-কল্পকাহিনী লেখক
- স্কটিশ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যক্তি
- মার্কিন অ-কল্পকাহিনী লেখিকা
- নিউ ইয়র্কের (রাজ্য) রিপাবলিকান
- নির্বাক চলচ্চিত্র পরিচালক