রবার্ট কী
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবার্ট উইলিয়াম ট্রেভর কী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পূর্ব ডালউইচ, লন্ডন, ইংল্যান্ড | ১২ মে ১৯৭৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | কীসি, ববি, পুডিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬১২) | ৮ আগস্ট ২০০২ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ জানুয়ারি ২০০৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭৮) | ২৬ জুন ২০০৩ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৬ জুলাই ২০০৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টি২০আই (ক্যাপ ৪৪) | ৫ জুন ২০০৯ বনাম নেদারল্যান্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮ - ২০১৬ | কেন্ট (জার্সি নং ৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
রবার্ট উইলিয়াম ট্রেভর কী (ইংরেজি: Robert Key; জন্ম: ১২ মে, ১৯৭৯) বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। বয়সভিত্তিক স্তরের ক্রিকেটে কেন্টের পক্ষে এগারো বছর বয়সে অংশ নেন। এরপর ১৯৯৮ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কেন্টের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার।
ইংল্যান্ডের যুবদলের পক্ষে আটটি প্রথম-শ্রেণী ও চারটি লিস্ট এ ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও ১৯৯৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা বিজয়ী ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রবার্ট কী। পরের মৌসুমে ব্যাপক রান সংগ্রহের প্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড এ দলের পক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন।
২০০২ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে রবার্ট কী’র। মার্কাস ট্রেসকোথিকের আঘাতপ্রাপ্তির ফলেই তার এ সুযোগ হয়। ২০০২-০৩ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। সেখানে তিনি তার দলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে দল নির্বাচকমণ্ডলীর যথার্থতা প্রমাণে সচেষ্ট হন। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু স্বল্পকাল পরই উভয় স্তরের ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েন। তবে মার্ক বুচারের আঘাতের কারণে ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্য কীকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেই নিজস্ব প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। এ সেঞ্চুরিটি পরবর্তীতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২২১ রানের ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত হয়। এ সফলতাসহ তৃতীয় টেস্টে দুইবার ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন। ফলশ্রুতিতে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন তিনি।
২০০৪-০৫ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৫২ রান তুলেন। রান তোলায় ধারাবাহিকতা না থাকায় ও ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় এক খেলায় অংশগ্রহণের পর থেকে নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে উপেক্ষিত হতে থাকেন।
ডেভিড ফুলটনের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর ২০০৬ সালে রবার্ট কীকে কেন্টের দলনেতার দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১০ সালে দ্বিতীয় বিভাগের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। দুইবার টুয়েন্টি২০ কাপের চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণসহ একবার ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেন। এরপর ২০১২ সালে কেন্টের অধিনায়কত্ব করা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। তার পরিবর্তে জেমস ট্রেডওয়েল ক্লাবের অধিনায়ক মনোনীত হন। তবে এক বছর দায়িত্ব পালনের পর ট্রেডওয়েল দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নিলে কীকে পুনরায় দল পরিচালনার দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন রবার্ট কী।[১]
কেন্টের নিয়মিত খেলোয়াড় থাকা অবস্থাতেই স্কাই স্পোর্টস টেলিভিশনে কাউন্টি ক্রিকেটের খেলায় ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়াও ইংরেজ মৌসুমে সফরকারী দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলাগুলোয়ও বিশ্লেষক হিসেবে অংশ নিতেন।
এপ্রিল, ২০১৬ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন রবার্ট কী।[২][৩]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]লন্ডনের পূর্ব ডালউইচ এলাকায় ট্রেভর ও লিন দম্পতির সন্তানরূপে জন্মগ্রহণ করেন রবার্ট কী।[৪] ক্রীড়া অনুরাগী এক পরিবারে তার জন্ম। তার মাতা কেন্ট মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বাবা ডার্বিতে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সহোদরা এলিজাবেথ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রিকেট দলে খেলে হ্যাট্রিক করেছেন।[৪][৫] কী নিজেকে তুখোড় ক্রীড়ানৈপুণ্যে ভাস্বর ক্রীড়াবিদে পরিণত করেন। কেন্টের পক্ষে টেনিস খেলায়ও অংশ নিয়েছেন তিনি।
ওরস্লি ব্রিজ প্রাইমারি স্কুলে অধ্যয়ন করেন রবার্ট কী। বিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে ব্রোমলি এরিয়া ও কেন্ট ক্রিকেট কাপের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এ সময়ে কেন্ট যুবদলের প্রশিক্ষক অ্যালেন ইলহাম তার মন্ত্রণাদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। বিদ্যালয় দলে অনন্য ভূমিকা গ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ কাউন্টির অনূর্ধ্ব এগারো দলের সদস্যের মর্যাদা লাভ করেন তিনি। পরবর্তীকালে লন্ডনের লি এলাকায় অবস্থিত কোলফি স্কুলে অধ্যয়ন শেষে বেকেনহামের ল্যাংলি পার্ক বয়েজ স্কুল থেকে জিসিএসই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে এক পর্যায়ে তার ওজন ১৬ স্টোন হয়ে যায়। প্রায়শই তিনি তার ওজন বৃদ্ধির জন্য সমালোচনার পাত্রে পরিণত হন।
ফ্লিয়ার নাম্নী রমণীর সাথে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে আলিয়াহ নাম্নী কন্যা ও হ্যারিসন নামীয় পুত্র রয়েছে।
১৯৯৫ সালে কেন্ট দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে প্রথমবারের মতো রবার্ট কী অংশগ্রহণ করেন। এরপর থেকে ১৯৯৭ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দ্বিতীয় দলের পক্ষে খেলতে থাকেন। এ সময়ে কেন্ট প্রতিনিধিত্বমূলক দলের পক্ষে প্রথমবারের মতো দুইটি সেঞ্চুরি হাঁকান। এসেক্স দ্বিতীয় একাদশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৬ ও গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩৯ রান তুলেন।[৬]
অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার প্রেক্ষিতে বারমুদায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক যুব প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সদস্যরূপে যোগদান করেন রবার্ট কী। এ প্রতিযোগিতায় ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে বেশ সচেষ্ট হন। ৪৮ ব্যাটিং গড়ে ১৮৪ রান তুলে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়ের অধিকারী হন তিনি।[৭]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]২০০২ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক ঘটে রবার্ট কী’র। মার্কাস ট্রেসকোথিকের বৃদ্ধাঙ্গুলি ভেঙ্গে গেলে তার এ সুযোগ ঘটে।[৮] এ প্রসঙ্গে দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি ডেভিড গ্রেভেনি কী’র অন্তর্ভূক্তি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, পুরো শীতকালে জাতীয় একাডেমিতে অংশগ্রহণের পর কেন্টের পক্ষে অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুণ্যে ভাস্বর ছিলেন রবার্ট কী।[৯] মাইকেল ভনের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে আশীষ নেহরা’র বলে বোল্ড হবার পূর্বে একমাত্র ইনিংসে ১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি।[১০] তৃতীয় টেস্টের জন্য দল অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় কী ৩০ ও ৩৪ রান তুলেন। ঐ টেস্টে ইংল্যান্ড ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[১১] তবে তার ক্রীড়াশৈলী তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করতে না পারায় বেশ প্রভাব বিস্তার করে।[১২] চতুর্থ ও সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে তাকে বাদ দেয়াহয়। আঘাত থেকে সেরে ওঠে ট্রেসকোথিককে পুনরায় দলে ভেড়ানো হয়।[১৩]
অস্ট্রেলিয়া সফর
[সম্পাদনা]ঘরোয়া ক্রিকেটে সফলতা প্রাপ্তি ও পূর্বের টেস্টগুলোয় প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখার প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্য দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়। সীমিত ওভারের খেলায় এসিবি সভাপতি একাদশের বিপক্ষে ৬৮ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস খেলেন।[১৪] তাস্বত্ত্বেও প্রথমটেস্টে তাকে খেলানো হয়নি। তবে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। ফিল্ডিং চলাকালে সাইমন জোন্সের হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্তি ঘটে ও দেখার মতো ফিল্ডিং করেন। এরপর জোন্সকে আর খেলায় অংশ নিতে হয়নি। আঘাতগ্রস্ত জন ক্রলি’র বিপরীতে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার তাকে দলে নেয়া হয়।[১৫] প্রথম ইনিংসে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র এক রান তুলেন। মধ্যাহ্নকালীন বিরতির পরপরই শেন ওয়ার্নের বোলিংয়ে কট আউটে পরিণত হন। মার্ক বুচার ও নাসের হুসেনের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। এবারো তিনি অ্যান্ডি বিকেলের বলে কট হন।[১৬]
পার্থে অনুষ্ঠিত তৃতীয় খেলায় কিছুটা ভালো করেন। পিচে ব্যতিক্রমধর্মী বাউন্স ও পেসের সমাহার ছিল।[১৭] একমাত্র ইংরেজ ব্যাটসম্যান হিসেবে কী দীর্ঘ সময় ধরে উইকেটে অবস্থান করেছিলেন। দলীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে তার নেতিবাচক ব্যাটিং থেকে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ইনিংসে তিনি ব্রেট লি’র ক্যাচ থার্ড ম্যান এলাকায় তালুবন্দী করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে হুসেনের যথাযথ সহযোগিতায় ২৩ রান তুলেন তিনি।[১৭][১৮] ঐ টেস্টে ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৪৮ রানের ব্যবধানে পরাজিত হলে অস্ট্রেলিয়া দল অ্যাশেজ অক্ষুণ্ণ রাখে।
একদিনের আন্তর্জাতিকের ভিবি সিরিজের প্রথম অংশের পর বিরতিকালে ইংল্যান্ড দল মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। দূর্ভাগ্যবশতঃ প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথে পা বাড়ান। ফাস্ট বোলার ব্রেট লি’র দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। ফলো-অনের কবলে পড়ে নিজস্ব প্রথম অর্ধ-শতক তুলে নেন। ফলশ্রুতিতে অস্ট্রেলিয়াকে পুনরায় ব্যাট ধরতে হয়। নতুন বল নেয়ার পর সেকেন্ড স্লিপে ৫২ রানের কট আউটে বিদায় নেন।[১৯][২০] সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টটি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ইংল্যান্ড দল মাঠে নামে। প্রথম ইনিংসে কী তিন রান তুলেন। স্টিভ ওয়াহ’র সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজে সুন্দর হাফভলিতে এলবিডব্লিউর শিকারে পরিণত হন।[২১] সফরের সর্বশেষ ইনিংসে তিনি ১৪ রান তুলেন। মিড-উইকেটে তিনি কটে বিদায় নেন। এ সময় ইংল্যান্ড প্রায় সাড়ে তিনশো রানে এগিয়ে ছিল। শেষপর্যন্ত ইংরেজ দল স্বান্তনাসূচক জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়। ২০০৪ সালের উইজডেন সংস্করণে মার্ক রামপ্রকাশের ন্যায় বয়োজ্যেষ্ঠ ক্রিকেটারের পরিবর্তে তার অন্তর্ভূক্তি যৌক্তিক মনে হলেও দলে তার অনিয়মিত অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়।[২২]
২০০৩ মৌসুমের শুরুতে বেশ নিম্নমুখী রান তুলতে থাকেন। প্রথম সাত ইনিংসে কেবলমাত্র একবার ৪০ ঊর্ধ্ব রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।[২৩] তাস্বত্ত্বেও সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার জন্য তাকে দলে রাখা হয়। দুই টেস্টে গড়া সিরিজের উভয়টিতেই তিনি পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে খেলায় তিনি তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। প্রথম খেলায় ১৮ ও দ্বিতীয় খেলায় চার রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। প্রথমটেস্টে বলে স্পর্শ না থাকা স্বত্ত্বেও আম্পায়ার স্টিভ বাকনরের অঙ্গুলি হেলনে কটে পরিণত হলে সংক্ষুব্ধ হন।[২৪]
ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ
[সম্পাদনা]এরপর ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের জন্য তাকে একদিনের দলে রাখা হয়। ঐ সময়ে তার সমমানের অন্য খেলোয়াড় না থাকায় তিনি এ সুযোগ পান। তবে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গড়া ঐ সিরিজে তিনি একবারই ৪০-এর অধিক রান পেয়েছেন।[২৫] জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে রবার্ট কী’র। প্রতিযোগিতার প্রথম খেলায় ১১ রান তুলে বামহাতি -স্পিনার রে প্রাইসের বলে আউট হন তিনি। সিরিজে আর একটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাখায়া এনটিনির প্রথম বলে ওয়াইল্ড সুইং বল মারার চেষ্টাকালে গোল্ডেন ডাক পান।[২৬] ইংল্যান্ড দল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় উপনীত হয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে কিছুটা অনুশীলনের সুযোগ দানের উদ্দেশ্যে তাকে মুক্তি দেয় ইসিবি কর্তৃপক্ষ।[২৭] তবে ঐ সিরিজে তাকে খেলানো হয়নি।
২০০৪ সালের শুরুতে সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্যের স্বীকৃতিস্বরূপ টেস্ট দলে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। ২ জুন সহস্র রান স্পর্শ করেন। ১৬ বছরের মধ্যে এটিই মাইলফলকের শুরুর তারিখ ছিল। এ মাইলফলককালে সাত ইনিংস খেলে পাঁচটি শতরানও করেন তিনি। তবে সীমিত ওভারের খেলায় এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। সমগ্র মৌসুমে কেবলমাত্র একবারই অর্ধ-শতক তুলেন।[২৮] এ সকল কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের জন্যে তাকে দলের সদস্য মনোনীত করা হয়। প্রতিযোগিতার পঞ্চম খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কী যাত্রা শুরু করেন।
হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ১৬০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে ইংল্যান্ড দল জয়ী হয়। ৫৫/১ থাকা অবস্থায় কী মাঠে নামেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ছয় রান তোলার পর ডোয়েন ব্র্যাভো বলে বোল্ড হন। গ্রুপ-পর্বের আর একটিমাত্র খেলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অংশ নেন। ভালোভাবে শুরু করলেও ১৮ রান তুলে কট বিহাইন্ড হন।
টেস্ট দল থেকে মার্ক বুচারকে বাদ দেয়া হলে তার স্থান নিশ্চিত হয়। গাড়ীর পিছনে বসা অবস্থায় ধাক্কায় আঘাতগ্রস্ত হয়েছিলেন বুচার।[২৯] কী সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করেন তিনি। উইজডেনের ভাষায় শক্তিশালী ড্রাইভ ও পুল সমৃদ্ধ ছিল তার সেঞ্চুরিটি। তবে সেঞ্চুরি করতে তিনি দুইবার সুযোগ দিয়েছিলেন। ১৬ রানে থাকাবস্থায় ক্রিস গেইল এবং ৫৮ রানের সময় ডেভন স্মিথ তাকে জীবন দেন।[৩০] সমগ্র ইনিংসটিতে বেশ মনোযোগী ছিলেন রবার্ট কী। চা বিরতির মাঝে রাণীর সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাতে মিলিত হবার পরও তার ইনিংসের ধারাবাহিতা অব্যাহত ছিল। ফিদেল এডওয়ার্ডসের বলে চার হাঁকিয়ে শতরানের কোটা স্পর্শ করেন। প্রথম দিনশেষে ১৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনও ইতিবাচক ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন। পেড্রো কলিন্সের বলে স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে চার রান তুলে প্রথম দ্বি-শতক রানে পৌঁছেন। কিন্তু ওয়াইড বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট এলাকায় ২২১ রানে ব্রায়ান লারার হাতে ধরা পড়েন।[৩১] দ্বিতীয় ইনিংসে খেলায় দ্বিতীয় সেঞ্চুরিকারী ও দলনেতা মাইকেল ভনের সাথে জুটি গড়লেও রান আউটের শিকার হন।
দ্বিতীয় টেস্টে কলিন্সের বলে বেশ কয়েকবার মারতে উদ্যত হলেও ব্যর্থ হন। এরপর তারই বলে ব্যাটের প্রান্তভাগ স্পর্শ করলে আউট হন।[৩২] দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র সাত বল খেলতে সক্ষম হন। মাত্র চার রান তুলে খুবই সহজতর ক্যাচ দেন মিড-অনে।[৩৩] উইজডেনের মতে, তৃতীয় টেস্টে সর্বাপেক্ষা মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন। প্রথম ইনিংসে ছয় রান তুললেও যখন তিনি ক্রিজে নামেন তখনো দলের জন্য আরও ২১৬ রানের দরকার ছিল যা দলকে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শুরুতে মাইকেল ভন ও পরবর্তীতে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের সাথে জুটি গড়ে অপরাজিত ৯৩ রান তুলেন। এরফলে ইংল্যান্ড দল লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ ইনিংসে সর্বাধিক রানের নতুন রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয় ইংরেজ দল।[৩৪] দশ রান তুলে সিরিজ শেষ করেন। চূড়ান্ত টেস্টে ইংল্যান্ড দল দশ উইকেটে জয় পায়।
সিরিজে অনবদ্য ভূমিকা রাখা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে অনন্য ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক ২০০৫ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর
[সম্পাদনা]ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের ফলে ইংরেজ মৌসুম শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। তবে, মার্ক বুচারের আরোগ্য লাভের প্রেক্ষিতে কী তার স্থান হারান। নিকি ওপেনহেইমার একাদশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক খেলায় ৮৭ রান তোলাও এর বাঁধার কারণ হতে পারেনি। অথচ বুচার মাত্র ছয় রান তুলেছিলেন।[৩৫] তবে বুচারের কব্জির আঘাতের কারণে তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। তবে, প্রথম ইনিংসে শূন্য রান তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরক্ষাব্যূহ গড়ে তোলেন ও ৪৭ রান তুলে নিকি বোয়ের বলে স্ট্যাম্পড হন।[৩৬] নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্টে ৮৩ রান তুলেন। এ সময়ে কীর সাথে অ্যান্ড্রু স্ট্রস ১৮২ রানের জুটি গড়েন।[৩৭] দ্বিতীয় ইনিংসে আরও আঠারো রান তুলে ইংল্যান্ডের জয়ে ভূমিকা রাখেন। চূড়ান্ত টেস্টে এক ও নয় রান তুলেন। উভয় ক্ষেত্রেই শন পোলক তাকে আউট করেন। ঐ টেস্টটি বৃষ্টির কারণে ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[৩৮]
আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
[সম্পাদনা]২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য সংক্ষিপ্তকাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসেন। ৫ জুন, ২০০৯ তারিখে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লর্ডসে একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। কেভিন পিটারসনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। ১৮শ ওভারে ১৪৪/৪ থাকাকালে মাঠে নামেন। ১১ বলে ১০ রান তুলেন রবার্ট কী যাতে কোন বাউন্ডারি ছিল না। খেলায় চূড়ান্ত বলে নেদারল্যান্ডস দল লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়।[৩৯][৪০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Rob Key replaces James Tredwell as captain, BBC Sport, সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৩
- ↑ "Rob Key announces retirement"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Rob Key: Kent and former England batsman retires"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ ক খ Marshall, Chris (ed.) (২০০৮)। The Cricketers' Who's Who। Green Umbrella Publishing। পৃষ্ঠা 350। আইএসবিএন 978-1-906229-63-4।
- ↑ Chevallier, Hugh (২০০৫)। "Robert Key – Cricketer of the Year essay"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২১।
- ↑ CricketArchive। "Player Oracle Reveals Results – RWT Key – 1996 to 1997"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০৭।
- ↑ CricketArchive। "Batting and Fielding in International Youth Tournament 1997 (Ordered by Average)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০৭।
- ↑ Cricinfo। "Trescothick injury poses selection dilemma"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৪।
- ↑ Lamb, Stephen। "England select Key to unlock Test potential"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৪।
- ↑ Cricinfo। "2nd Test: England v India at Trent Bridge, Aug 8-12, 2002"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৪।
- ↑ Cricinfo। "3rd Test: England v India at Headingley, Aug 22-26, 2002"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৪।
- ↑ Bhattacharya, Rahul। "Indians in England, 2002"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৪।
...England, who proceeded to drop four catches in an hour on the third morning. Robert Key, the chunky opener playing his second Test, dropped two more on top of one the previous evening...
- ↑ Smyth, Rob। "4th Test: England v India, The Oval, match report"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৪।
- ↑ Cricinfo। "ACB Chairman's XI v England XI at Perth (Lilac Hill), Oct 22, 2002"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৫।
- ↑ Killeen, Claire। "Vaughan gives England backbone at Adelaide"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৪।
- ↑ Cricinfo। "2nd Test: Australia v England at Adelaide, Nov 21-24, 2002"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৫।
- ↑ ক খ Marks, Vic। "3rd Test: Australia v England, Perth, match report"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৫।
- ↑ Cricinfo। "Australia retain the Ashes with a convincing win at Perth"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৫।
- ↑ Cricinfo। "4th Test: Australia v England at Melbourne, Dec 26-30, 2002"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ "Australia fall behind for the first time"। Australian Associated Press। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ Ryan, Christian। "5th Test: Australia v England, Sydney, match report"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ Berry, Scyld। "2004 - England in Australia"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ CricketArchive। "Player Oracle Reveals Results – RWT Key – 2003 (first-class)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ Lynch, Steven। "England take charge"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
Key looked aggrieved, and the all-seeing TV replay suggested that the noise Steve Bucknor heard was bat hitting pad on the way through.
- ↑ CricketArchive। "Player Oracle Reveals Results – RWT Key – 2003 (List A)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ Williamson, Martin। "Hundreds from Solanki and Trescothick sink South Africa"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ Cricinfo। "England release Key"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৭।
- ↑ CricketArchive। "Player Oracle Reveals Results – RWT Key – 2004 (List A)"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৮।
- ↑ Lynch, Steven (২০০৫)। "England v West Indies, first Test, match report"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৮।
- ↑ Miller, Andrew। "Key and Strauss in perfect harmony"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৮।
- ↑ Auld, Freddie। "England stay in command despite collapse"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৮।
- ↑ Miller, Andrew (২৯ জুলাই ২০০৪)। "Trescothick sets the pace for England"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-৩০।
- ↑ Brickhill, Liam (৩১ জুলাই ২০০৪)। "England build the foundations"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-৩০।
- ↑ Coupar, Paul। "England v West Indies, third Test, match report"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-৩০।
- ↑ Cricinfo। "England v Nicky Oppenheimer XI, December 8, 2004"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-৩০।
- ↑ Williamson, Martin (৫ জানুয়ারি ২০০৫)। "Outclassed and indisciplined England face defeat"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-৩০।
- ↑ Engel, Matthew। "Wisden, 2005 – South Africa v England, fourth Test report"। Wisden Cricketers' Almanack। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০৪।
- ↑ Cricinfo। "5th Test: South Africa v England at Centurion, Jan 21-25, 2005"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-০৭।
- ↑ McGlashan, Andrew (৫ জুন ২০০৯)। "de Grooth leads Netherlands to famous win"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১০।
- ↑ "ICC World Twenty20 - 1st match, Group B England v Netherlands (scorecard)"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রবার্ট কী (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রবার্ট কী (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ডেভিড ফুলটন জেমস ট্রেডওয়েল |
কেন্ট ক্রিকেট অধিনায়ক ২০০৬–২০১২ ২০১৪–১৫ |
উত্তরসূরী জেমস ট্রেডওয়েল (২০১৩) স্যাম নর্থইস্ট (২০১৬) |
- ১৯৭৯-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ২১শ শতাব্দীর ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ডের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- ইংরেজ ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- এনবিসি ডেনিস কম্পটন পুরস্কার বিজয়ী
- কেন্টের ক্রিকেটার
- কেন্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
- মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- রক্ষণশীল দল (যুক্তরাজ্য) এর ব্যক্তি
- প্রথম-শ্রেণী কাউন্টিজ নির্বাচিত একাদশের ক্রিকেটার